তওয়াফ করার নিয়ত, বিস্তারিত নিয়মাবলী সহ সংক্ষেপে তওয়াফের বিধান
তওয়াফ করার নিয়ত ও বিস্তারিত নিয়মাবলী
নির্ভুল ও সুচারুরূপে তওয়াফ করতে হলে নিচে উল্লেখিত নিয়মাবলী মনোযোগ দিয়ে পড়ূন এবং মনে রাখুন :
নিয়তঃ ‘হে আল্লহ্! আমি তোমার পবিত্র ঘর কা’বা শরীফ তওয়াফ করার নিয়ত করলাম। তুমি আমার তওয়াফ কবুল করো এবং সহজ করে দাও ’।
তওয়াফের নিয়ত করা ফরজ। উজু ব্যতীত তওয়াফ করা নিষেধ।
নিয়মাবলীঃ
১। মাতাফ- কা’বা শরীফের চারদিকে তওয়াফ করার চত্বরকে মাতাফ বলে।
২। সরাসরি হাজরে আস্ওয়াদকে চুম্বন করে অথবা হাত বা লাঠি দ্বারা স্পর্শ করে তওয়াফ করা সুন্নাত। বর্তমানে হজ্বের সময় এমনকি উমরাহ্ করার সময়ও হাজীদের ভিড়ের কারণে হাজরে আস্ওয়াদকে চুম্বন করা সম্ভব হয় না। সুতরাং দূর থেকে শুধু ডান হাতের তালু দ্বারা হাজরে আস্ওয়াদের দিকে ইশারা করে তওয়াফ শুরু করতে হবে। ইশারা করে হাতে চুম্বন করা নিষেধ। (হাতে চুম্বন করার বিষয়টি বিতর্কিত)
৩। কা’বা শরীফের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে হাজরে আস্ওয়াদ (কালো বেহেশতী পাথর) স্থাপন করা আছে। হাজরে আস্ওয়াদের কোণা এবং সাফা পাহাড়ের দিকে হারাম শরীফের দেয়ালে যে সবুজ রং এর টিউব লাইট লাগানো আছে- এ দুটোর মধ্যে যে কাল্পনিক রেখা হয়, সে রেখার সামান্য বাম দিকে দাঁড়িয়ে হাজরে আস্ওয়াদের দিকে মুখ করে তওয়াফ করার নিয়ত করুন। স্বাভাবিক ভাবেই এ সময় হাজরে আস্ওয়াদ আপনার একটু ডান দিকে থাকবে।
৪। নিয়ত করার সাথে সাথে একটু (এক পা) ডানে এসে হাজরে আস্ওয়াদের বরাবর দাঁড়িয়ে ডান হাত কাঁধ পর্যন্ত তুলে হাতের তালু দ্বারা হাজরে আস্ওয়াদের দিকে ইশারা করে শুধু ‘বিসমিল্লাহি আল্লহু আকবার’ তাকবীর বলে অথবা ‘বিসমিল্লাহি আল্লহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হাম্দ, ওয়াস সলাতু ওয়া আসসালামু আ’লা রসূলিল্লাহি’ বলে অথবা তওয়াফ শুরু করার দুআ’ পড়ে (৫নং দুআ’) ডান দিকে ঘুরে তওয়াফ শুরু করুন।
৫। হাজরে আস্ওয়াদ এবং সবুজ লাইটের মধ্যে যে কাল্পনিক রেখা হয়, সে স্থান থেকে অনেক খানি দূরে অর্থাৎ সম্মুখের দিকে অগ্রসর হয়ে তওয়াফ শুরু করলে তওয়াফ পূর্ণ হবে না। ভুলে অথবা ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে কারো এমন অবস্থা হলে, তাঁকে পেছনে গিয়ে সে কাল্পনিক লাইন থেকে পুনরায় তওয়াফ শুরু করতে হবে। অতি ভিড়ের জন্য সে লাইনে ফিরে যাওয়া সম্ভব না হলে তওয়াফের এ চক্করকে বাদ দিয়ে সঠিক স্থান থেকে পুনরায় নতুন করে তওয়াফ শুরু করতে হবে। সংশোধনের এটাই উত্তম পন্থা।
হজ্বের সময় ভিড়ের কারণে তওয়াফ শুরু করার উল্লেখিত নিয়মগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করা সম্ভব হয় না। এ কাজগুলো করতে গিয়ে কিছু ব্যতিক্রম হলে অসুবিধা নেই। তবে সঠিকভাবে তওয়াফ শুরু করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করতে হবে।
৬। কা’বা শরীফকে হাতের বাম দিকে রেখে তওয়াফ শুরু করুন।
৭। তওয়াফের সময় সম্মুখের দিকে তাকিয়ে চলতে হবে- অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে কা’বা শরীফের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে তওয়াফ করা নিষেধ। হাঁটতে হাঁটতে দু একবার কা’বার দিকে দৃষ্টি গেলে কোনো গুনাহ্ হবে না।
৮। হাতীমের বাহির দিয়ে তওয়াফ করতে হবে এবং মাকামে ইব্রাহীমের উভয় দিক দিয়ে তওয়াফ করা জায়েয।
তওয়াফের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দুআ’ নেই - ৯
(ক) তবে তওয়াফের সময়টি দুআ’ কবুলের উত্তম সময়। সুতরাং প্রত্যেক চক্করে ছোট ছোট যে কোনো দুআ’ করা যায়। এ ব্যাপারে কোনো বাধ্য- বাধকতা নেই। আরবীতে দুআ’ পড়তে না পারলে নিজের মাতৃভাষায় মন খুলে আল্লহর নিকট দুআ’/প্রার্থনা করুন। তওয়াফ করার সময় এদিক সেদিক না তাকিয়ে মনে মনে আল্লহর সাথে কথা বলুন, আল্লহর শুকরিয়া আদায় করুন, আল্লহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন, সৎ পথে চলার তাওফীক চান, মৃত্যু-কবর এবং দোযখের আযাব থেকে পানাহ্ চান, পরিবার-পরিজনদের জন্য ক্ষমা চান, দুনিয়া-আখেরাতের সাফল্যের জন্য, কল্যাণের জন্য দুআ’ করুন, সূরাঃ ফাতিহা পড়ুন, সূরা ইখলাস পড়ুন, আয়াতুল কুরসী পড়ুন। যেসব যিকির, তাসবীহ-তাহলীল জানেন সেগুলো পড়ুন।
(খ) তওয়াফের সময় আপনার মনের অবস্থা কেমন হবে ? সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ যেমন লক্ষ্যে পেীঁছতে ছুটে যায়, বান্দা-বান্দীও তেমনি শত সহস্র মানুষের তওয়াফের স্রোতে মহান আল্লহর নির্দেশ পালনের স্বাদ আস্বাদন করে। এ তওয়াফের মাধ্যমেই ঘটে বান্দা ও আল্লহর মহামিলন। সুতরাং আপনাকে তওয়াফের জন-সমুদ্রে শুধু ৭টি চক্কর দিলেই চলবে না বরং তওয়াফ করতে করতে আপনার স্মৃতি পটে উদ্ভাসিত করতে হবে বাবা আদম (আঃ) থেকে নিয়ে আমাদের আখেরী নবী মুহাম্মাদ (সঃ) পর্যন্ত সকল নবীরসূলদের তওয়াফের চিত্র।
তওয়াফ করার সময় আপনি দেখতে পাবেন, অগণিত আল্লহর প্রেমিক একই রকমভাবে আল্লহর ভালবাসা পাওয়ার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে ছুটে চলেছে। প্রচন্ড চাপ, ধাক্কা, স্থান পরিবর্তন কোনো কিছুকে পরোয়া না করে আল্লহকে খুশি করার জন্য সব কিছু উপেক্ষা করে সামনে অগ্রসর হচ্ছে। আপনার অন্তরে অনুভব করতে হবে যে, যেস্থানে আপনি পা ফেল্ছেন সেস্থানেই পদচিহ্ন রয়েছে লাখো নবী পয়গম্বর ও লক্ষ কোটি আল্লহ- প্রেমিক বান্দা-বান্দীদের পদচিহ্ন।
এ রকম উপলব্ধি করতে পারলেই আপনার তওয়াফ কবুল হবে, তওয়াফ করা সার্থক হবে এবং আল্লহর সান্নিধ্য অর্জিত হবে। যদিও তওয়াফের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দুআ’ নেই তবে রোক্ণে ইয়ামানী থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত স্থানে একটি নির্দিষ্ট দুআ’ পড়তে হয়।
১০। কা’বা শরীফের দক্ষিণ-পশ্চিমের কোণাকে ‘রুকনে ইয়ামানী’ বলে।
রুকনে ইয়ামানীর নিকট এসে সম্ভব হলে উক্ত রুক্নকে ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করুন, সম্ভব না হলে ঠেলা-ঠেলি করার প্রয়োজন নেই। রুকনে ইয়ামানীতে চুম্বন করা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। রুকনে ইয়ামানীর দিকে হাত দিয়ে কোনো ইশারা করাও নাজায়েয। মূল দেয়াল হাত দিয়ে ছোঁয়ার জন্য কা’বার গিলাফের যে অংশটুকু কেটে রাখা হয়েছে শুধু সেস্থানটি ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করা সুন্নাত।
১১। রুকনে ইয়ামানী হতে হাজরে আস্ওয়াদের কোণা পর্যন্ত প্রত্যেক চক্করে এ দুআ’ পড়ুন। রসূল (সঃ) এ স্থানে এ দুআ’-ই পড়েছেন।
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এ দুনিয়ায় এবং আখিরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করো এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও’ (সূরা: বাকারা, আয়াত নং ২০১)। বার বার এ দুআ’ পড়ুন।
১২। এ দুআ’ পড়তে পড়তে হাজরে আস্ওয়াদের কোণা বরাবর পৌঁছলে এক চক্কর পূর্ণ হয়।
১৩। দ্বিতীয় চক্কর থেকে ৭ম চক্কর পর্যন্ত প্রত্যেক চক্করের শুরুতেই হাজরে আস্ওয়াদের দিকে মুখ করে শুধু ডান হাত উঠিয়ে হাজরে আস্ওয়াদের দিকে ইশারা করে ২/১ বার ‘বিসমিল্লাহি আল্লহু আকবার’ তাকবীর বলে পরবর্তী চক্কর শুরু করুন। তওয়াফের নিয়ত শুধু ১ম চক্করেই করতে হয়। পরবর্তী চক্করগুলোতে আর নিয়ত করতে হয় না।
১৪। এভাবে এক এক করে ৭ টি চক্কর শেষ করলে একটি তওয়াফ পূর্ণ হবে।
১৫। অতঃপর মাকামে ইব্রাহীমের পেছনে অথবা ইহার আশেপাশে দু’রাকআত ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে হবে। তারপর যমযমের পানি পান করে সায়ী করার জন্য সাফা পাহাড়ে যাওয়ার পূর্বে পুনরায় (অর্থাৎ ৮ম বার) হাজরে আস্ওয়াদকে চুম্বন করা সুন্নাত কিন্তু বর্তমানে ভিড়ের জন্য এটা করা সম্ভব হয় না। তাই দূর থেকে হাতের ইশারায় ইস্তিলাম করলেই সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।
বিঃ দ্রঃ
(১) শাইখুল ইসলাম (র) বলেনঃ তওয়াফের মধ্যে রসূল (সঃ) থেকে নির্ধারিত কোনো দুআ’র কথা উল্লেখ নেই। তাঁর আদেশেও নেই, তাঁর কর্মেও নেই, তাঁর শিক্ষায়ও নেই। বরং তওয়াফ করার সময় কুরআন হাদীসের অনুমোদিত সকল দুআ’ই করা যায় সুতারাং চক্করে চক্করে কোনো দুআ’কে নির্দিষ্ট করে পাঠ করা বিদ্আত। শরীয়তের বিধানের বাইরে কোনো ইবাদাত করলে তাতে কোনো সওয়াব হবে না।
(২) কয়টি চক্কর সম্পন্ন করলেন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। গণনায় ভুল হলে, যেমন ৩ চক্কর না ৪ চক্কর হয়েছে, এ ধরনের সন্দেহ হলে কম সংখ্যা ধরে অর্থাৎ এক্ষেত্রে ৩ চক্কর ধরে বাকি ৪ চক্কর পূর্ণ করতে হবে। গণনায় যাতে ভুল না হয়, সেজন্য ৭ দানার একটি তাসবীহ্ হাতে রাখলে উত্তম হয়। তাসবীহ্ অথবা ছোট পাথর অথবা অন্য কিছুর দ্বারা সাহায্য না নিলে ভুল হতেই পারে। তাই গণনার সুবিধার জন্য নিজ নিজ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
(৩) উজু ব্যতীত তওয়াফ করা নিষেধ। তওয়াফ করতে করতে কোনো চক্করে/স্থানে উজু ভেঙ্গে গেলে পুনরায় উজু করে ঐ স্থান থেকে অবশিষ্ট তওয়াফ পূর্ণ করতে হবে।
(৪) তওয়াফ শুরু করার পূর্বেই পেশাব-পায়খানার কাজ সেরে নিবেন যাতে তওয়াফ করার সময় এসব ঝামেলায় পড়তে না হয়। তবুও তওয়াফ করার সময় যদি পেশাব-পায়খানার বেগ হয় তাহলে সেকাজ সেরে নিয়ে বাকি তওয়াফ করতে হবে।
(৫) কোনো সুন্নাত/নফল কাজ করতে গিয়ে কাউকে কষ্ট দেয়া হারাম। তাই তওয়াফ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার জন্য অন্য কেউ যেন কষ্ট না পায়।
(৬) হাজরে আস্ওয়াদের কোণা বরাবর দাঁড়ানোর সুবিধার্থে সাফা পাহাড়ের দিকে হারাম শরীফের দেয়ালে সবুজ রং এর টিউব লাইট লাগানো আছে। ২য় এবং ৩য় তলার ফ্লোরে তীর চিহ্ন দিয়ে হাজরে আস্ওয়াদকে চিহ্নিত করা আছে। অতএব সঠিক স্থানে দাঁড়ানোর জন্য সবুজ লাইট অথবা তীর চিহ্নের সাহায্য গ্রহণ করুন।
(৭) তওয়াফ করার বিশেষ ফজীলতঃ হযরত অব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) রেওয়ায়েত করেন যে, রসূলে কারীম (সঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তওয়াফ করার জন্য পা উপরে উঠায়, তার পা নিচে নামানোর আগেই আল্লহ তাআ’লা তার আমল নামায় ১০ নেকী লিখে দেন এবং প্রত্যেক কদমের পরিবর্তে ১০টি গুনাহ্ মাফ করে দেন, আর ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।’ (তিরমিযী ঃ ৪/৫৮, আহ্মাদ)
(৮) তওয়াফ যেহেতু একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত এবং কা’বা শরীফ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও এ ইবাদাত করা যায় না, তাই তওয়াফের যাবতীয় সঠিক মাসআ’লা-মাসায়েল জেনে নেবেন। আমার এ ছোট্ট বইতে সব কিছু বিস্তারিতভবে লেখা সম্ভব হল না।
(৯) রুক্ণে ইয়ামানী, হাজরে আস্ওয়াদ এবং দরজার চৌকাঠে আতর লাগানো থাকার কারণে ইহরাম অবস্থায় এগুলোতে হাত না লাগানোই ভাল। তওয়াফের সময় এ ক’টি স্থান ব্যতীত কা’বার অন্য কোনো স্থানে বা গিলাফে বুক লাগানো বা হাত লাগানো বা রুমাল দিয়ে গিলাফ মুছে পরে সে রুমাল দিয়ে মুখ/শরীর মুছা নাজায়েয। যদিও অধিকাংশ হাজীরা এসব বিধান মানে না। এজন্য তারা অবশ্যই গুনাহ্গার হবে।
(১০) টেলিভিশনের সৌদী চ্যানেলে ২৪ ঘন্টা পবিত্র কা’বা শরীফ তওয়াফের, সাফা-মারওয়া সায়ীর এবং নামাজের দৃশ্য দেখানো হয়, তাই ঐ চ্যানেল দেখলে তওয়াফ ও সায়ী সম্বন্ধে কিছু ধারণা পাবেন।
(১১) অনেক হাজীগণ দলবদ্ধ হয়ে তওয়াফ করেন। তাঁদের দলনেতা উচ্চস্বরে দুআ’ পড়েন, আর অনুসারীরা শুনে শুনে একত্রে উচ্চস্বরে দুআ’ পড়তে থাকেন। এ নিয়ম সঠিক নয়। এভাবে দুআ’ করলে দুআ’র শব্দগুলো উচ্চারণে ভুল-ভ্রান্তি হয়। এতে অন্যান্য তওয়াফকারীদের খুব অসুবিধা হয়।
(১২) তওয়াফ করার সময় মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলা এবং কা’বা শরীফের ছবি তোলা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। যারা এ নিষেধাজ্ঞা মানবে না তারা চরম অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবে।
সংক্ষেপে তওয়াফের বিধানঃ
(১) তওয়াফের নিয়ত করা ফরজ।
(২) উজু ছাড়া তওয়াফ করা নিষেধ।
(৩) হাজরে আস্ওয়াদের কোণা থেকে তওয়াফ শুরু এবং শেষ করা ওয়াজিব।
(৪) কা’বাকে হাতের বামে রেখে কা’বার দিকে না তাকিয়ে তওয়াফ করতে হয়।
(৫) হাতীমের বাহির দিয়ে তওয়াফ করতে হয়।
(৬) মাকামে ইব্রাহীমের উভয় দিক দিয়ে তওয়াফ করা যায়।
(৭) ৭ চক্করে একটি তওয়াফ হয়।
(৮) তওয়াফ করার সময় কোনো নির্দিষ্ট দুআ’ নেই।
(৯) অতিরিক্ত নফল উমরাহ্ করা থেকে আল্লহর ঘর তওয়াফ করাতে বেশী সাওয়াব হয়।
(১০) কা’বার চত্বর দিয়ে, মাসজিদুল হারামের ভেতর দিয়ে, দোতলা দিয়ে, তিনতলা দিয়ে এবং ছাদের উপর দিয়ে তওয়াফ করা যায়।
(১১) তওয়াফ করার সময় কা’বার কালো গিলাফে হাত-বুক লাগানো নিষেধ। শুধু ৪টি স্থান স্পর্শ করা যায়, যথাঃ- (ক) হাজরে আস্ওয়াদ (খ) মুলতাযাম (গ) কা’বা ঘরের দরজার চৌকাঠ (ঘ) রুক্ণে ইয়ামানী।
(১২) কা’বার গিলাফে হাত লাগিয়ে নিজের মুখে, বুকে বা শরীরে মুছাতে কোনো ফায়দা নেই।
(১৩) অক্ষম না হলে পায়ে হেঁটে তওয়াফ করতে হবে।