হজ্ব সফর কখন শুরু করবেন এবং কত দিন হজ্ব সফরে থাকবেন?
হজ্ব সফর কখন শুরু করবেন এবং কত দিন হজ্ব সফরে থাকবেনঃ
ক। এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সুষ্ঠূ পরিকল্পনার প্রয়োজন। কেননা এ সফরের প্রতিটি কাজ, প্রতিটি মুহূর্ত আপনার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। যাঁরা জীবনে প্রথম বার হজ্ব করতে যাবেন, তারা হজ্ব ফ্লাইট শুরু হওয়ার প্রথম দিকেই যাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং সফরের মেয়াদ ৩৫-৪০ দিন ধার্য করবেন । তাহলে মনপ্রাণ ভরে হজ্বের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পূর্ণ তৃপ্তির সাথে বাড়ীতে ফিরতে পারবেন। হজ্বের ৩৫/৪০ দিন পূর্বেই মক্কা শরীফ পৌঁছে ধীর-স্থির ভাবে আল্লহর ঘর বেশী বেশী তওয়াফ করতে পারবেন। হজ্বের ৩৫/৪০ দিন পূর্বে মক্কাশরীফে হাজীদের ভিড় কম থাকে। তাই এ সময় আপনি কা’বা শরীফের খুব নিকট দিয়ে তওয়াফ করতে এবং কাছে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারবেন, হাতিমের ভেতর প্রবেশ করতে পারবেন, হাজরে আস্ওয়াদ চুম্বন করাও সম্ভব হতে পারে, ধীরেধীরে গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনাবলী এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে-ফিরে দেখে নিতে পারবেন। তাছাড়া ৩৫/৪০ দিন পূর্বে মক্কাশরীফ পৌঁছলে সৌদি মোয়াল্লেমগণ আপনাকে হজ্বের পূর্বেই মদীনা শরীফ নিয়ে যাবেন। মদীনা শরীফ থেকে ফিরে এসে মন-প্রাণ দিয়ে হজ্ব করতে পারবেন।
খ। গুরুত্বপূর্ণ দায়-দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, শারীরিক অসামার্থ্যতা, সাংসারিক ঝামেলা ইত্যাদি কারণে যদি কেউ ১৫-২০ দিনের শর্ট প্যাকেজে গিয়ে হজ্ব করে আসেন তাতেও হজ্ব আদায় হয়ে যাবে। কারণ হজ্ব পালনের জন্য নির্ধারিত মাত্র ৫ দিনের প্রয়োজন (৮ থেকে ১২ যিলহজ্ব তারিখ পর্যন্ত)।
ক্ষেত্র বিশেষে যদি কেউ ৮ তারিখে মক্কায় পৌঁছে - ১২ তারিখে ফিরে আসেন, তাহলেও তাঁর হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।
বিঃ দ্রঃ (১) মক্কা শরীফ আগে যাবেন, না মদীনা শরীফ আগে যাবেন, এ ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। হজ্ব ফ্লাইটের জটিলতার/অব্যবস্থার কারণে অনেক সময় নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী হজ্বে যাওয়া যায় না। তাই আপনি কখন কোথায় যাবেন, এটা হজ্ব এজেন্সীর সাথে আলোচনা করে স্থির করবেন। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে কবুল করা আল্লহ্ পাকের ইচ্ছা। সর্বোপরি আল্লহই সব ব্যবস্থা করবেন। তাই একমাত্র আল্লহর উপরই ভরসা করতে হবে।
(২) হজ্ব এজেন্সির লোকেরা/সাব-এজেন্টরা গ্রাম-গঞ্জের হাজীদেরকে নানাভাবে কষ্ট দেয়/প্রতারিত করে। সুতরাং সাবধানতার সাথে এজেন্সি নির্বাচিত করতে হবে।
(৩) হজ্বের সফরের খরচ এবং আরাম নির্ভর করে আপনার হোটেলের অবস্থান, হোটেলের মান এবং খাবারের মানের উপর। অর্থাৎ হোটেলটি কা’বা শরীফ থেকে কতদূরে এবং হোটেলটি কোন্ মানের।
প্রধানতঃ এ দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে হজ্বের প্যাকেজের মোট টাকার পরিমাণ নির্ধারন করা হয়। সুতরাং সবকিছু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে হজ্ব এজেন্সির সাথে চুক্তিবদ্ধ হবেন।